Recents in Beach

header ads

মহাকাশ সম্পর্কে রোমাঞ্চকর 10 টি অবাক করা তথ্য

হ্যালো বন্ধুরা আমি চলে আসলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আজকে আমি মহাকাশ সম্পর্কে, রহস্য এবং রোমাঞ্চকর 10 টি অবাক করা তথ্য জানাবো। তো চলুন শুরু করা যাক :
আমরা সকলেই রাতের বেলা আকাশ দিকে কমবেশ প্রায় সময় তাকিয়ে থাকি। রাতের আকাশের দিকে তাকালে আমাদের মনে নানা প্রশ্ন জাগে। আমরা জানতে চাই কি আছে ওই মহাশূন্যের মাঝে ? আমরা এইটা বাবি সেখানে কি আমাদের পৃথিবীর মত কোন গ্রহ আছে ? আবার সেখানে কি আমাদের মত মানুষ আছে ? এমন নানা প্রশ্ন মনের মাঝে বাসা বোনে। সে মহাশূন্য সম্পর্কে 10 টি অবাক করা তথ্য জানাবো, যেগুলো হয়তো আপনি আগে জানতেন না।

 1= মহাশূন্য আমাদের থেকে কত দুরে মহাশূন্য আমাদের থেকে মাত্র 1 ঘন্টা দূরত্ব। টিভিতে মহাশূন্যের কোন ভিডিও ফুটেজ বা ইন্টারনেট থেকে কোন স্থির চিত্র দেখলে আমাদের মনে হয় মহাশূন্য আমাদের থেকে অনেক দুরে তাই তো। কিন্তু সত্যি বলতে মহাশূন্য আমাদের থেকে মাত্র 100 কিলোমিটার দুরে। যদি মহাশূন্যের যাওয়ার জন্য কোন সলিড রাস্তা থাকতো তাহলে সেখানে পৌছাতে মাত্র 1 ঘণ্টা সময় লাগতো। This amazing. 

2 = মহাশূন্যে কোন শব্দ হয় কি মহাশূন্য সত্যিকারের একটি নীরব জায়গা।আপনি সেখানে বিন্দু মাত্র শব্দ শুনতে পারবেন না। কারন হলো, শব্দ তরঙ্গ স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য মাধ্যম দরকার হয়। কিন্তু মহাশূন্যে কোন বায়ুমণ্ডল নেই। যার কারণে, শব্দ তরঙ্গ স্থানান্তরিত হতে পারে না, এবং কোন শব্দ শোনাও যায় নাহ। আপনি বলতে পারেন তাহলে মহাকাশচারীরা কিভাবে কথা বলে? উত্তর হল, তারা রেডিও ওয়েবের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।

3= মহাকাশচারীর পায়ের ছাপ ছবিতে যে পায়ের ছাপ দেখতে পাচ্ছেন এটা কোন সাধারণ পায়ের ছাপ নয়। অ্যাপোলোতে করে চাঁদে যাওয়া মহাকাশচারী পায়ের ছাপ এটা। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এই পায়ের ছাপ টি 100 মিলিয়ন বছর পর্যন্ত এভাবে থাকতে পারে। আপনি কি অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ এটা সম্ভব কারণ চাঁদে কোন বায়ুমণ্ডল নেই, কোন বৃষ্টি নেই, নেই কোন বাতাস, যা এই পায়ের ছাপটি নষ্ট করতে পারবে। সো চাঁদে মানুষের পায়ের ছাপ টি অক্ষত অবস্থায় থাকবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে।

4= মহাশূন্যে আপনি কাঁদতে পারবেন কী হ্যাঁ অবশ্যই মহাশূন্যে আপনি কাঁদতে পারবেন। কিন্তু পৃথিবীতে কাঁদলে যেমন এফেক্ট হয় সেখানে কাঁদলে তেমন এফেক্ট পাবেন না। কারণ হলো, আপনি পৃথিবীতে কান্না করলে চোখের জল অবশ্যই মাটিতে পড়বে কিন্তু মহাশূন্যে কান্না করলে আপনার চোখের জল চোখে মুখে লেগে থাকবে। আপনার কষ্ট হলে তো আপনি কান্দেন তাইনা তারপর আমার জন্য কেমন জানিল খুব হাস্যকর লাগতেছে।

5= মহাশূন্যে বোম ফেললে কি হবে। ইউনাইটেড স্টেটস 1962 সালে একটি ইতিহাস তৈরি করেন। তারা পরীক্ষা করনের জন্য মহাশূন্যে একটি হাইড্রোজেন বোমা ফাটায়। যা জাপানের হিরোশিমা নিক্ষিপ্ত বোম এর চেয়ে 100 গুণ শক্তিশালী ছিল। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, এত শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করার পরও পৃথিবী তার বিন্দুমাত্র টের পায়নি।

6= সবচাইতে ঠান্ডা তারা রিসেন্টলি নাসা এমন এক তারা সন্ধান পেয়েছে যার তাপমাত্রা অতিমাত্রায় কম। তাই এই তারা নাম দিয়েছেন Brown Dwarf এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম তাপমাত্রার তারা এটি, এর তাপমাত্রা 9 ডিগ্রী ফারেনহাইট থেকে মাইনাস 54 ডিগ্রী পর্যন্ত। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব 7.2 আলোকবর্ষ।

7= মহাশূন্যে অ্যালকোহল থাকা সম্ভব কী কেমন হবে যদি হঠাৎ করে অ্যালকোহল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় ? আর যে যেটা করুক না কেন আমি তো সর্বপ্রথম পার্টি শুরু করে দেবো, তাই তো। হ্যাঁ মহাশূন্যে আমাদেরকে পার্টির সুযোগ করে দিতে পারে কিন্তু বৃষ্টির ননা। আমাদের গ্যালাক্সির সেন্টারে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল আবিষ্কৃত হয়েছে। যার পরিমাণ, 10 বিলিয়ন বিলিয়ন লিটার। ওকে নেক্সট টাইম পার্টিতে গেলে এই কথাটি মনে করবেন আর পৃথিবী থেকে মাত্র 26000 আলোকবর্ষ দূরে যাওয়ার কথা ভাববেন তাহলে কিন্তু পার্টি দিতে পারবেন না হলে সব কিছু বিফলে।  

8= মহাশূন্যে কি আবর্জনা আছে আপনি কি মনে করেন শুধুমাত্র পৃথিবীতে ময়লা-আবর্জনা রয়েছে? আমাদের চিন্তা করার কারণ 5 লাখেরও বেশি আবর্জনা পৃথিবীর কক্ষপথে প্রতিনিয়ত ঘুরছে। এখন আপনি ভাবতে পারেন এগুলো কি কোন ক্ষতি করবে না ? হ্যাঁ এগুলো ক্ষতি করতে পারে কারণ এগুলো 17,500 মাইল পার ঘন্টা গতিতে ঘুরছে। দুর্ঘটনা এই গুলা স্যাটেলাইটের বড় ধরনের ক্ষতি করে দিতে পারে। 

 9= মহাশূন্যে কি জল আছে পৃথিবী থেকে 10 আলোকবর্ষ দূরে পানির বাষ্পের আধার পাওয়া গেছে। যেখানে এমন পরিমাণে পানি আছে যা পৃথিবীর টোটাল পানির চেয়েও 140 ট্রিলিয়ন গুণ বেশি। এটি মহাশূন্যের একটি অন্যতম বড় জলাধার, যা সত্যিই অবাক করা বিষয়। 

10= একাধিক সানসেট এবং সানরাইজ আছে প্রত্যেকদিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নভোচারীরা, 15 টি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পারে। আপনি যদি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত পছন্দ করেন তবে মহাকাশের নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন। 

 বন্ধুরা আজকের পর্যন্তই কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন সবাইকে ধন্যবাদ

Post a Comment

0 Comments